👉সেন্টমার্টিন দ্বীপ
দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ হলো সেন্টমার্টিন।যা দেশের কক্সবাজার জেলার সর্ব দক্ষিণ উপজেলা টেকনাফে অবস্থিত।যার আয়তন মাত্র ১৭ বর্গকিলোমিটার। সেন্টমার্টিন ও একটি ইউনিয়ন।এখানে প্রায় ২০০০ মানুষ বসবাস করে।যারা বেশিরভাগই টেকনাফের।
সেন্টমার্টিন এর ইতিহাস
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী সেন্টমার্টিন দ্বীপটি ব্রিটিশ আমলের চট্টগ্রামের একজন কর্মকর্তার নামে দ্বীপটির নামকরণ করা হয়।আবার এখানে আরব বনিকরা জাহাজের বিরতিতে এখানে বিশ্রাম নিত।এরা এটার নাম দেয় জাজিরা।তারপর লোকমুখে তার নাম হয়ে যায় জিঞ্জিরা বা নারিকেল জিঞ্জিরা।
New Oppo Reno 11 Pro Smartphone Price
সেন্টমার্টিন যাওয়ার নিয়ম
সেন্টমার্টিন যেতে হলে আপনাকে টেকনাফ যেতে হবে।তাই ঢাকা থেকে যেতে চাইলে গাবতলি,সায়দাবাদ থেকে অনেক বাস আছে।যেমন:সেন্টমার্টিন ট্র্যাবেলস,সেন্টমার্টিন হুন্দাই,এস আলম,সোদিয়া ইত্যাদি।।আবার ট্রেনে করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত গিয়ে চট্টগ্রাম এর সিনেমা প্যালেস থেকে বাসে যাওয়া যাবে।আমি গিয়েছিলাম প্রথমে কক্সবাজার। তারপর ভোরে কক্সবাজার এর দৃশ্য দেখে একটা সিএনজি নিয়ে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে চলে যাই টেকনাফ যার ভাড়া *২৫০*টাকা। টেকনাফ জেটি থেকে শিপ এ করে যাওয়া যায় অথবা ট্রলার বা স্পিডবোট এ করর যাওয়া যায়।আমি গিয়েছিলা আটলান্টিক ক্রুজ শিপ এ করে।যার ভাড়া ১২০০+ আসা যাওয়া।সকাল ৯ টায় ছেড়ে যায় এবং সেন্টমার্টিন এ পৌছে যায় ১১.৩০ মিনিটে।
থাকা খাওয়া
আমি বাড়ি থেকেই রুম বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম।আমি ছিলাম উত্তর বিচে।আমার হোটেল এর নাম ছিলো দ্বীপ তরঙ্গ।আমি একা ছিলাম তাই আমি ভাড়া দিয়েছিলাম ৭০০ টাকা মাত্র যা সময় অনুযায়ী উঠানামা করে।তারপর আমি বাসা থেকে ২ মিনিট হেটেই চলে যাই দুপুরের খাওয়া খেতে।আমি খেয়েছিলাম প্যাকেজে মুরগি দিয়ে ১৬০ টাকা নিয়েছিল। তারপর আমি চলে যাই সমুদ্রস্নান করতে।যদিও একা ছিলাম তাই বেশি সময় ছিলাম না।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন
আমি স্নান করে চলে যাই রুমে তারপর রেডি হয়ে হাটতে হাটতে চলে যাই পশ্চিম বিচে।ওখানে হুমায়ুন আহমেদ এর সমুদ্র বিলাশ,প্লাস্টিকের মোড়ল,এবং সূর্যাস্ত দেখলাম।তারপর আমি ওখানকার একজন স্থানীয় লোকের সাথে পরিচিত হই তারসাথে রাতে বাজারে একটু ঘুরাঘুরি করে চলে যাই একটা হোটেলে কোরাল মাছের বারবিকিউ খেতে যা নিয়েছিলো ৩২০ টাকা।খাওয়া শেষে রাতে একা একা ঘুরাঘুরি বেশি করলাম না সমুদ্র পাড় দিয়ে হেটে চলে যাই রুমে।তারপর ঘুমিয়ে যাই।
পরদিন সকালে তারাতারি উঠে পরি।সাইকেল ভাড়া নিয়ে চলে যাই ছেড়াদ্বীপ।তারপর সাইকেল পার্কিং করে বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত ঘুরে আসলাম।তারপর ফিরে এসে সকালের নাস্তা সেরে নিলাম।তারপর তাড়াতাড়ি রুমে গেলাম চেক আউট করতে হবে।রুমে গিয়ে আবার চলে গেলাম সমুদ্রে স্নান করতে।স্নান শেষে রুমে এসে রেডি হয়ে চেকআউট করে নিলাম।তারপর দুপুরের খাওয়া সেরে নিলাম।তারপর আবার সাইকেলে চলে গেলাম
পশ্চিম বিচে যত টুকু যেতে পারি গেলাম।তারপর বাজারে গিয়ে টিকেট নিয়ে নিলাম এবং সেন্টমার্টিন কে বিদায় দিয়ে রওনা দিলাম।টেকনাফ এসে কক্সবাজার এর উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
কক্সবাজার বার্মিজ মার্কেট
কক্সবাজার এসে প্রথমে বাসের টিকেট নিয়ে নিলাম সেন্টমার্টিন ডিপ লি: কুমিল্লা পর্যন্ত ভাড়া *৮০০* নিয়ে ছিল।এরপর রাতে খাওয়া খেয়ে চলে গেলাম ডলফিন মোড় থেকে বার্মিজ মার্কেট। ওখান থেকে কেনাকাটা সেরে চলে গেলাম বাস টার্মিনাল। এবং রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
আমার ফেসবুক একাউন্ট:https://www.facebook.com/dreamblog00 কোন কথা থাকলে নক দিয়েন।
শেষ কথা।
আমি একা একা গিয়েছিলাম তাই লোকজনদের সাথে মিশেছি।যা একা একা ভ্রমন ছাড়া বুঝতে পারবেন না।আমি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার পথে সেন্টমার্টিন এর স্থানীয় লোকের সাথে পরিচিত হই।যা আমার জন্য অনেক ভালো হয়েছিল।আমি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়া আসার ভাড়া কম লেগেছিল।(৪০০) টাকা মাত্র।ঘুরতে গেলে অবশ্যই পাওয়ার ব্যাংক আনবেন কারণ এখানে বিদ্যুৎ পাওয়ার কম।খরচ করার সময় দামাদামি করবেন।
আমার খরচ হয়েছিল প্রায় (৪৫০০) টাকার মতো
যদি আমার গল্প ভালো লাগে তাহলে আমার ব্লগটি ফলো করে দিবেন।
আমি প্রথম ভ্লগ লিখছি তাই ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।
ভালো ❤️
ReplyDelete🥰
ReplyDeleteNc
ReplyDelete