কম খরচে মেঘালয় ভ্রমন।

Ismail Hossain
0

 

এখানে দেখুন আরো কন্টেন্ট 👍

মেঘালয় ভ্রমন গল্প

পর্ব ১।। কিভাবে গেলাম।।


আমার দেখা স্থানগুলোর মধ্যে সবথেকে সুন্দর একটি রাজ্য। ব্যাচেলর ট্রিপ।

বরাবরের মতো বাংলাদেশ থেকে সবাই সিলেট ডাউকি বর্ডার হয়ে মেঘালয় যায়।।তাই আমাদের ব্যতিক্রমী পরিকল্পনা। 


আমাদের পরিকল্পনা ভারতের মধ্যে দীর্ঘ ট্রেন ভ্রমণ। তাই আমরা দিনাজপুরের হিলি পোর্ট নির্বাচন করি।। কারণ অপর পাশেই দক্ষিণ দিনাজপুরের মালদা স্টেশন অবস্থিত সেখান থেকে বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া যায় ট্রেনে।


আমরা সবার সঙ্গে মোট চারজন। সবাই আমরা হিলি পোর্টকে নির্বাচন করে ভিসার জন্য আবেদন করি। নির্দিষ্ট সময়ের আগে ভিসা আবেদন করাতে আমরা কাঙ্খিত সময়ের আগেই আমরা ভিসা পেয়ে যাই। ভিসা বাবদ খরচ হিসাব বাবদ খরচ হয় ১১০০ টাকা।।

Oppo Mobile Full Specification Here

এখন শুধু যাওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা বাকি।। সকলের সম্মতিতে একটা তারিখ নির্বাচন করা হলো যেই দিন আমরা রওনা দিব। 


তারিখ নির্ধারণ হয়ে গেলে আমাদের এক বন্ধুর দ্বারা ইন্ডিয়া থেকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করেনি গন্তব্য মালদা টাউন ⇨থেকে গুয়াহাটি। 

গুয়াহাটি আসাম রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত। ট্রেনে করে যেতে হলে আমাদের এখানে নামতে হবে এবং সেখান থেকে বাসযোগ মেঘালয় রাজধানী শিলং যেতে হবে। 

⇨ট্রেন ভাড়া জনপ্রতি ১৮৩৬ টাকা (Ac 3 tire)

Redmi note 12R Full Specification Here

আমাদের নির্ধারিত দিনের ট্রেন জার্নি শুরু করার একদিন আগে আমি এবং শাকিল দুইজন ইন্ডিয়াতে ঢুকি।বাকি দুইজন পরের দিন আসবে। আমরা চাচ্ছিলাম আগে গিয়ে বর্ডারের পাশের এলাকাটি করে দেখা। যেখানে অবস্থান নিলাম স্থানটির নাম বালুরঘাট ( দ: দিনাজপুর)। 


এটা ছিল আমার প্রথম ভারত ভ্রমণ। যখন ইমিগ্রেশন পার হচ্ছিলাম তখন মনের মধ্যে একটা আনন্দ কাজ করছিল যেটা বলে বোঝাতে পারবো না। শাকিল আমার আগে কয়েকবার ইন্ডিয়াতে গিয়েছে তাই তার সাথেই যাওয়া। ইমিগ্রেশনের জন্য একটা ফরম পূরণ করতে হলো।এরপরে লাইনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে হল ছবি তোলা শেষ হলে আমরা বর্ডার ক্রস করে ভারতের ইমিগ্রেশনে ঢুকে পড়ি।সেখানে আমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো কোথায় কোথায় ঘুরতে যাব আমরা ঠিক উত্তর দিয়ে দিলাম কোথায় কোথায় যাবো। ইমিগ্রেশন পাট কমপ্লিট করে আমরা টাকা ভেঙে রুপিতে কনভার্ট করে নেই। এরপরে একটা রিজার্ভ করে বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। বালুরঘাট বর্ডার থেকে ২৫ কিলোমিটার দুরে।আস্তে আস্তে ফোনের নেটওয়ার্ক চলে যেতে লাগলো। আমার বন্ধুর ইন্ডিয়ান সিন ছিল তার থেকে ওয়াইফাই শেয়ার নিয়ে ফোন চালাতে লাগলাম। 

আমার টেকনোলজি রিলেটেড ওয়েবসাইট

প্রায় ৩০ মিনিট পরে আমরা বালুরঘাট শহরে পৌঁছে যাই সর্বপ্রথম হোটেলে চেক ইন করা।কয়েকটি হোটেল দেখার পরে একটি পছন্দ হয় নাম ছিল "লজ লীলা "।

হোটেলে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হলাম ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়ার জন্য বের হলাম। 


রাস্তায় শুধু নজর যাচ্ছিল Royel Enfield এর দিকে। এটি সবার একটা ড্রিম বাইক। আমরা খাওয়া-দাওয়া সেরে আশেপাশে ঘুরতে লাগলাম। বিকেল গড়িয়ে এলো। আমরা যার মাধ্যমে টিকিট (ট্রেনের টিকিট) কাটার জন্য দিয়েছিলাম তার সাথে দেখা করার জন্য একটা লেগুনা নিলাম। চারিদিকের পরিবেশ দেখতে দেখতে গেলাম তপন থানাতে। সেখানে বন্ধুর পরিচিত তার বাসা যে টিকিট কেটেছে। সন্ধ্যায় গড়িয়ে এলো ওদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা সন্ধ্যার পরে অতটা ভালো নেই আসার সময় আমরা একটা রিজার্ভ অটো নিই। সুন্দর নির্মল পরিবেশন মধ্য দিয়ে আমরা হোটেলে ফিরি।। কিছুক্ষণ পরে শুরু হল ঝুম বৃষ্টি আমাদের হোটেল রুমের বারান্দায় চেয়ার পাতা ছিল সেখানে বসে বৃষ্টি উপভোগ করতে লাগলাম। রাতে সুন্দর একটা ঘুম হবে। পরের দিন বাকি যে দুই বন্ধু ছিল তারা চলে আসবে তারা সহকারে আমরা মালদা স্টেশনে যাব। 


চলবে.....স্মার্টফোন সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)
Demos Buy Now