সীতাকুণ্ড এবং সহস্রধারা ঝর্না ভ্রমন|Tour In Sitakundu and Sohosrodara Water Fall

Ismail The Mapless Traveller
3
আসসালামু আলাইকুম

 আজকে আসলাম সীতাকুণ্ড ভ্রমন নিয়ে।
 চলুন জেনে নেই কিভাবে একদিনে সীতাকুণ্ড ভ্রমন করবেন


সীতাকুণ্ড এর ইতিহাস

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা যা ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।এটি চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে একটি এবং চট্টগ্রাম জেলার উত্তরে অবস্থিত। চট্টগ্রাম নগরীর ৯ কি.মি. উত্তরে রাজধানী ঢাকা থেকে ২১৯ কি.মি.দক্ষিণে - ৩৫ কি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট গিরিসৈকতের মিলন কেন্দ্র বার আউলিয়ার পূণ্যভূমিতে সীতাকুন্ড থানার অবস্থান।এর আয়তন ২৭৩.৪৭ বর্গকিঃ।জনসংখ্যা হলো ৪ লক্ষ প্রায়।

কিভাবে যাবেন সীতাকুণ্ড 

সীতাকুণ্ড যাওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ হলো ট্রেনে যাওয়া। একেবারে কম খরচে ঘুরে আসতে পারবেন।তাই ট্রেনে যাওয়া ভালো।কিন্তু সীতাকুণ্ড রেল স্টেশন এ চট্টগ্রাম মেইল ট্রেন ছাড়া আর কোন ট্রেন থামেনা।যারা ঢাকা থেকে আসবেন তারা রাত ১০:৩০ এর মেইল ট্রেনে চলে আসতে পারেন।আবার ট্রেন আছে যেটা সীতাকুণ্ড থেকে একটু দূরে কুমিরা স্টেশন এ থামে।যদি কুমিরাতে নামেন তাহলে অনেক ভোরে নামবেন।স্টেশন থেকে একটু পশ্চিম দিকে  হাটলেই মেইন রোড।সিএনজি বা লোকাল বাস দিয়ে সীতাকুণ্ড বাজারে চলে আসুন ভাড়া ৩০-৫০ টাকার মতো নিবে।


কোথায় ঘুরবেন কী কী করবেন

সীতাকুণ্ড বাজারে নামেই সকালের নাস্তা সেরে নিন।পারলে পানি সাথে নিবেন।এরপর একটা সিএনজি নিয়ে নিন (এখানে রিজার্ভ সিস্টেম তাই যত জন উঠেন ভাড়া একই) সরাসরি চন্দ্রনাথ পাহাড়ের সামনে নামিয়ে দিবে।নেমে এখান থেকে লাঠি কিনে নিবেন এতে উঠতে পারবেন ভালোভাবে ৩০ টাকা নেয় আবার ফেরত দিলে ২০ টাকা রিটার্ন।পাহাড়ে উঠবেন সকালেই।এতে রোদের গরম থেকে বেচে যাবেন।এখানে অনেক লোকজন থাকে তাই তাদের সাথে উঠে যেতে পারবেন।রাস্তা দুইটা আছে সিড়িটা নামার আর মাটির রাস্তাটা উঠার।সিড়িতে উঠতে অনেক কষ্ট।
চন্দ্রনাথ পাহাড়ের প্রথম মন্দিরে উঠতে একটু কষ্ট হবে।এর পর দ্বিতীয় মন্দির বা চূড়ায় উঠতে অল্প কিছু সময় লাগে।চুড়ায় উঠে সময় কাটিয়ে  সিড়ির রাস্তা দিয়ে নেমে যান।আবার সিএনজি নিয়ে বাজার চলে যান।দুপুরের খাওয়া সেরে নিন।


সহস্রধারা ঝর্না
 

সিএনজি নিয়ে চলে যান ছোট দারোগারহাট বাজার। সেখান থেকে আবার সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে যাবেন,,,,, টিকেট কাটলে একটা ট্রলারে করে নিয়ে যাবে ঝর্নার কাছে।ঝর্নায় গোছল করে নিতে পারেন।আবার আসার সময় টিকেটের গায়ের নাম্বারে কল দিলে ট্রলার এসে যাবে।এরপর বাড়িতে ফেরার দুইটা রাস্তা আছে।ফেনী বা চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে যাওয়া যায়।আমি গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম হয়ে কারণ রাতে শহরে ঘুরবো একটু।তাই চট্টগ্রাম হয়ে যাওয়া।চাইলে ফেনী হয়ে যেতে পারেন ছোট দারোগারহাট বাজার থেকে বাসে করে চলে যান। আগেই টিকেট কেটে রাখবেন তাহলে ভোগান্তি হবে না।

থাকা খাওয়া 

সীতাকুণ্ড এসে খাওয়াটা একটু সমস্যার।তাই খাওয়াটা একটু ভালো মানের হোটেলে খেয়ে নিয়েন।এতে খাবারের মান ভালো পাবেন।এখানে দিনে এসে আবার চলে যেতে পারবেন তাই থাকার প্রয়োজন কম পরে।

শেষ কথা

ঘুরতে গেলে একটু তাড়াতাড়ি রওনা দিবেন।তাহলে ভালোভাবে ঘুরে আসতে পারেন।কিছু খেয়ে প্লাস্টিক সব জায়গায় ফেলবেন না।প্রকৃতির সৌন্দর্য  নষ্ট করবেন না।

ভালো থাকবেন আবার দেশের অন্য কোন পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে আসবো। 

কোন ধরনের ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন


Post a Comment

3Comments

Post a Comment
Demos Buy Now