মহামায়া লেক |
কোথায় অবস্থিত:
মহামায়া লেক যাওয়ার উপায়ঃ
মহামায়া লেক মিরসরাই এর ঠাকুরদিঘী বাজার থেকে দুই কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত। তাই দেশের যে জায়গা থেকেই আসতে চান আপনাকে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই এর ঠাকুরদিঘী বাজার আসতে হবে।
ঢাকা থেকে মহামায়া লেক:
ঢাকা থেকে বাসে :
ঢাকার যে কোন জায়গা থেকে চট্টগ্রাম গামী যে কোন বাসে করেই যেতে পারবেন মিরসরাই এর ঠাকুরদিঘী বাজার। আপনার পছন্দ মত বাসে এসে মিরসরাই এর আগে ঠাকুরদিঘী বাজারে নেমে যেতে হবে।
ঠাকুরদিঘী থেকে জনপ্রতি ২০-৩০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন মহামায়া ইকোপার্ক এর মেইন গেইটে। অথবা সিএনজি রিজার্ভ করে (ভাড়া ১২০-১৫০ টাকা) চলে আসবেন মহামায়া ইকো পার্ক। এই ইকো পার্কের ভিতরেই মাহামায়া লেকের অবস্থান।প্রবেশের টিকেট মুল্য ১০-২০ টাকা।
ঢাকা থেকে ট্রেনে :
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী যে কোন আন্তঃনগর ট্রেনে এসে ফেনী স্টেশনে নামতে হবে। ফেনী স্টেশন থেকে ২০ টাকা রিক্সা বা অটো দিয়ে ফেনী মহিপাল বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। সেখান থেকে লোকাল বাসে ৪০/৫০ টাকা ভাড়ায় মিরসরাই এর আগে ঠাকুরদিঘী বাজার নেমে যেতে হবে।ঠাকুরদিঘী থেকে জন প্রতি ২০-৩০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন মহামায়া ইকোপার্ক এর মেইন গেইটে। এই ইকো পার্কের ভিতরেই মাহামায়া লেকের অবস্থান।প্রবেশের টিকেট ১০-২০ টাকা।
চট্টগ্রাম থেকে মহামায়া লেক
চট্টগ্রাম শহরের মাদার বাড়ি থেকে সরাসরি বাসে ৭০-১০০ টাকা ভাড়ায় ঠাকুরদিঘী বাজারে আসতে পারবেন। আবার চট্টগ্রাম নগরের অলংকার সিটি গেইট থেকে কিছু লোকাল বাসে করে ৫০ থেকে ৮০ টাকা ভাড়ায় মিরসরাই থানার ঠাকুর দিঘী যাওয়া যায়। ঠাকুরদিঘী থেকে জন প্রতি ২০-৩০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন মহামায়া ইকোপার্ক এর মেইন গেইটে। এই ইকো পার্কের ভিতরেই মাহামায়া লেকের অবস্থান।প্রবেশের টিকেট ১০-২০ টাকা।
সিলেট থেকে
সিলেট থেকে ট্রেনে অথবা বাসে আসতে পারবেন। চট্টগ্রাম গামী যে কোন বাসে উঠে নেমে যেতে হবে মিরসরাই এর আগে ঠাকুরদিঘী বাজারে। ট্রেনে আসতে চাইলে আন্তঃনগর ট্রেনে ফেনী স্টেশন পর্যন্ত এসে নেমে যেতে হবে। ফেনী স্টেশন থেকে ১০-১৫ টাকা অটো দিয়ে ফেনী মহিপাল বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। সেখান থেকে লোকাল বাসে ৪০-৫০ টাকা ভাড়ায় মিরসরাই এর আগে ঠাকুরদিঘী বাজার নেমে যেতে হবে।ঠাকুরদিঘী থেকে জন প্রতি ২০-৩০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন মহামায়া ইকোপার্ক এর মেইন গেইটে। এই ইকো পার্কের ভিতরেই মাহামায়া লেকের অবস্থান।পার্কে ডুকার জন্য টিকেট লাগবে।যা ১০-২০ টাকায় পেয়ে যাবেন।
কায়াকিং |
মহামায়া লেকে কায়াকিং করতে পারবেন। একটা কায়াকে দুইজন বসতে পারবেন। প্রতি ঘন্টার কায়াকিং ভাড়া ৩০০ টাকা। শিক্ষার্থী হলে ডিসকাউন্ট পাবেন তখন এক ঘন্টার জন্যে দিতে হবে ২০০ টাকা। কায়াকিং করা যায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫:৩০ পর্যন্ত। লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ইঞ্জিন বোট আছে। ৮-১০ জন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম নৌকা এক ঘন্টা ঘুরিয়ে দেখাবে আশেপাশে ঝর্ণা সহ ভাড়া ৭০০-১০০০ টাকা। ১৫-২০ জন নিয়ে ঘুড়ে বেড়াতে সক্ষম ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করতে এক ঘন্টার জন্যে লাগবে ১২০০-১৫০০ টাকা।
খাওয়া দাওয়াঃ
পার্কে খাওয়ার ব্যবস্থা নেই।যদি ক্যাম্পিং করেন তবে খাবার নিয়ে চিন্তা করা লাগবে না।নিচে ক্যাম্পিং সম্পর্কে দেখুন।ক্যাম্পিং না করলে নিজ থেকে খাবার নিয়ে যেতে হবে। ঠাকুরদিঘী বাজারে ছোট হোটেল আছে দেশী খাবার খেতে পারবেন। মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড বাজারে গেলে মোটামুটি মানের আরো কিছু খাওয়ার হোটেল পাবেন সেখান থেকে খেয়ে নিতে পারবেন।
কোথায় থাকবেনঃ
মিরসরাই এ থাকার মত তেমন ভালো কোন আবাসিক হোটেল নেই। থাকতে চাইলে মিরসরাই এর কাছে সীতাকুণ্ডে কিছু সাধারণ মানের হোটেল আছে সেখানে থাকতে পারবেন। তবে আরো ভালো কোথাও থাকতে চাইলে আপনাকে চট্টগ্রাম শহরে চলে যাওয়াই উত্তম। মোড়ে মোটামুটি মানের থাকার মত হোটেল পাবেন। অথবা চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এর স্টেশন রোড এলাকায় বিভিন্ন মানের হোটেল আছে, পছন্দ মতো কোন এক হোটেলে রাত্রিযাপন করতে পারেন।তবে ক্যাম্পিং করে থাকতে পারবেন।নিচে জেনে নিন কিভাবে ক্যাম্পিং করবেন।
ক্যাম্পিং করে রাত্রিযাপনঃ
মহামায়া লেকে ক্যাম্পিং করে রাত্রিযাপন এর সুযোগ রয়েছে।যা মহামায়া লেক কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করে।তাদের সাথে আগেই কথা বলে রাখতে হবে।তাদের একটা প্যাকেজ আছে এতে রাতে বারবিকিউ,রাতের খাবার,সকালের নাস্তা সহ একটা প্যাকেজ।তাই তাদের সাথে কথা বলে নিতে পারেন এখানে 👈
ভ্রমণের সাধারন কিছু টিপস অ্যান্ড ট্রিকসঃ
সবকিছুর ব্যাপারে পজিটিভ থাকুন; পজিটিভ ভাবুন সাথে কি কি নেয়া প্রয়োজন তার একটি তালিকা তৈরি করুন।
ভ্রমণের স্থানের স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যান।
ক্যামেরার জন্য এক্সট্রা ব্যাটারী নিতে ভুলবেন না
শীতকালে ভ্রমণ করলে যথেষ্ট পরিমান গরম কাপড় নিন
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি সাথে রাখুন কি কি জামাকাপড় পরবেন আগে থেকেই ঠিক করে নিন।
• টুথব্রাস, মুজা এবং অতিরিক্ত কাপড় সাথে রাখুন
• যে কোনো বাহনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে দামাদামি করে নিবেন।
• ভ্রমণে বেশি বেশি পানি পান করুন যাতে ডিহাইড্রেট হয়ে না যান।
• কোন পথ বা ডিরেকশন সম্পর্কে জানতে যাকে তাকে জিজ্ঞেস না করে দোকানদারকে জিজ্ঞেস
করুন
• আপনার ভ্রমণ প্ল্যান সম্পর্কে অবশ্যই আপনার বাসার কাউকে অবহিত করে যান।
• সম্ভব হলে একটি ফার্স্ট এইড কিট সাথে রাখুন
শেষ কথাঃ
কিছু খেয়ে প্লাস্টিক সব জায়গায় ফেলবেন না।প্রকৃতির সৌন্দর্য নষ্ট করবেন না।আমাদের সম্পদ আমাদেরকেই বাচাতে হবে।
ভালো থাকবেন আবার দেশের অন্য কোন পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে আসবো।
কোন ধরনের ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।
আরো দেখুনঃ
সীতাকুণ্ড ও সহস্রধারা সম্পর্কে জানতে 👈
গুলিয়াখালী সী বিচ সম্পর্কে জানতে👈
নাপিত্তাছড়া ঝর্না সম্পর্কে জানতে👈